গত বর্ষা মৌসুমে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি এবং উজানের বিভিন্ন এলাকায় যমুনা নদীর ভাঙনের কারণে পানির স্রোতের সাথে বালু মাটি এসে পাবনার বেড়া উপজেলার বিভিন্ন চরা লের নিচু এলাকার আবাদি জমিতে বালুর স্তর পড়ে চাষাবাদের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
যার ফলে চিনা বাদাম ও তিল মৌসুমে অনেক আবাদি জমি অনাবাদি থাকার আশংকা করছেন উপজেলার চরা লের কৃষকরা। জানা যায়, উপজেলার চর সাঁড়াশিয়া, হাটাইল-আড়ালিয়া, চরনাগদাহ, চরনাকালিয়া, চরপেঁচাকোলা, চর পাইখন্দ, চর সাফুল্লাসহ বিভিন্ন এলাকার নিচু জমিগুলো বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়ে পড়লে বালুর স্তর জমে ক্ষতি সাধিত হয়।
বর্তমান অধিকাংশ জমি হতে পানি নেমে গেলেও জমিতে পড়ে রয়েছে বালুর স্তর। চরসাঁড়াশিয়া গ্রামের কৃষক আব্দুল ছাত্তার বেপারী বলেন, তার ৪ বিঘা আবাদি জমিতে বালুর স্তর পড়ে চাষাবাদের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
চরসাফুল্লা গ্রামের চাষি গজনবী বলেন, তার ১৫ বিঘা জমিতে বালু পড়েছে। কৃষক ছাড়াও এসব এলাকার স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন যমুনা নদীর ভাঙনের কারণে পানির স্রোতের সাথে বালু মাটি এসে এসব এলাকার প্রায় ২ হাজার বিঘা নিচু এলাকার আবাদি জমিতে বালুর স্তর পড়ে জমিগুলো চাষাবাদের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
কৃষকরা বলেন, বালুর স্তর পড়া এসব জমিতে চলতি শুরু হওয়া মৌসুমে চরা লের অর্থকরী ফসল চিনা বাদামের বীজ বপন করা যাবে না। অনেক কৃষক দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, গত বন্যা ও নদী ভাঙনে এসব এলাকার কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে তার উপর আবার জমিতে বালুর স্তর, এ যেন মরার উপর খাঁড়ার ঘা’র মতো অবস্থা।
টিএইচ